সুরা শু’য়ারা

ত্বা, সীন, মীম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১]

এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২]

তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩]

আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪]

যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫]

অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্ রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬]

তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭]

নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮]

আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯]

যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও; [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০]

ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১]

সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২]

এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩]

আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪]

আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫]

অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬]

যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলক ে আমাদের সাথে যেতে দাও। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭]

ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮]

তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯]

মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০]

অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১]

আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলক ে গোলাম বানিয়ে রেখেছ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২]

ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৩]

মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৪]

ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৫]

মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৬]

ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৭]

মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৮]

ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২৯]

মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩০]

ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩১]

অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩২]

আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৩]

ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৪]

সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৫]

তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৬]

তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৭]

অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৮]

এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৩৯]

যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪০]

যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪১]

ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪২]

মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৩]

অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৪]

অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৫]

তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৬]

তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৭]

যিনি মূসা ও হারুনের রব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৮]

ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৪৯]

তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫০]

আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্য ুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫১]

আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫২]

অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৩]

নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৪]

এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৫]

এবং আমরা সবাই সদা শংকিত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৬]

অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৭]

এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৮]

এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলক ে করে দিলাম এসবের মালিক। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৫৯]

অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬০]

যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬১]

মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬২]

অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৩]

আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৪]

এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৫]

অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৬]

নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৭]

আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৮]

আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৬৯]

যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭০]

তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭১]

ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭২]

অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৩]

তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৪]

ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৫]

তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৬]

বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৭]

যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৮]

যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৭৯]

যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮০]

যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮১]

আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্য ুতি মাফ করবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮২]

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৩]

এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৪]

এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৫]

এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৬]

এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৭]

যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না; [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৮]

কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৮৯]

জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯০]

এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯১]

তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯২]

আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৩]

অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৪]

এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৫]

তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৬]

আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৭]

যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনক র্তার সমতুল্য গন্য করতাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৮]

আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:৯৯]

অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০০]

এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০১]

হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০২]

নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৩]

আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৪]

নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৫]

যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৬]

আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৭]

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৮]

আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১০৯]

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১০]

তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১১]

নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১২]

তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে! [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৩]

আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৪]

আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৫]

তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৬]

নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৭]

অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৮]

অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১১৯]

এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২০]

নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২১]

নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২২]

আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৩]

তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৪]

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৫]

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৬]

আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৭]

তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৮]

এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১২৯]

যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩০]

অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩১]

ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩২]

তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তা ন, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৩]

এবং উদ্যান ও ঝরণা। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৪]

আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৫]

তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৬]

এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৭]

আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৮]

অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৩৯]

এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪০]

সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪১]

যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪২]

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৩]

অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৪]

আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৫]

তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৬]

উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৭]

শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৮]

তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৪৯]

সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫০]

এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না; [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫১]

যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না; [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫২]

তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৩]

তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৪]

সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৫]

তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৬]

তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৭]

এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৮]

আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৫৯]

লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬০]

যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬১]

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬২]

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৩]

আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তা দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৪]

সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৫]

এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৬]

তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৭]

লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৮]

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৬৯]

অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭০]

এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭১]

এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭২]

তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্ শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৩]

নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৪]

নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৫]

বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৬]

যখন শো'আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৭]

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৮]

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৭৯]

আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮০]

মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮১]

সোজা দাঁড়ি-পাল্ লায় ওজন কর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮২]

মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৩]

ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদ ায়কে সৃষ্টি করেছেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৪]

তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৫]

তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৬]

অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৭]

শো'আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৮]

অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৮৯]

নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯০]

নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯১]

এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহান ের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯২]

বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৩]

আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৪]

সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৫]

নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৬]

তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলে র আলেমগণ এটা অবগত আছে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৭]

যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৮]

অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:১৯৯]

এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০০]

তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০১]

অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০২]

তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৩]

তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৪]

আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৫]

অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৬]

তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৭]

আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৮]

স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২০৯]

এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১০]

তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ?ও রাখে না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১১]

তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১২]

অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৩]

আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৪]

এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৫]

যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৬]

আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৭]

যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন, [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৮]

এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২১৯]

নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২০]

আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২১]

তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২২]

তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২৩]

বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২৪]

তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে? [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২৫]

এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২৬]

তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ। [সুরা শু’য়ারা - ২৬:২২৭]