সুরা সাফফাত

শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১]

অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের, [সুরা সাফফাত - ৩৭:২]

অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের- [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩]

নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪]

তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫]

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬]

এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭]

ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮]

ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯]

তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০]

আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১]

বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২]

যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩]

তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪]

এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫]

আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬]

আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭]

বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৮]

বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৯]

এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২০]

বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২১]

একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২২]

আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৩]

এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে; [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৪]

তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না? [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৫]

বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৬]

তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৭]

বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৮]

তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:২৯]

এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩০]

আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩১]

আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩২]

তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৩]

অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৪]

তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৫]

এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৬]

না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৭]

তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৮]

তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৩৯]

তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪০]

তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪১]

ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪২]

নেয়ামতের উদ্যানসমূহ। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৩]

মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৪]

তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৫]

সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৬]

তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৭]

তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৮]

যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৪৯]

অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫০]

তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫১]

সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫২]

আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৩]

আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৪]

অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৫]

সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৬]

আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৭]

এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৮]

আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৫৯]

নিশ্চয় এই মহা সাফল্য। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬০]

এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬১]

এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬২]

আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৩]

এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৪]

এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৫]

কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৬]

তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ, [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৭]

অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৮]

তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৬৯]

অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭০]

তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭১]

আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭২]

অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৩]

তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৪]

আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৫]

আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৬]

এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৭]

আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৮]

বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৭৯]

আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮০]

সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮১]

অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮২]

আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৩]

যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল, [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৪]

যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৫]

তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৬]

বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৭]

অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৮]

এবং বললঃ আমি পীড়িত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৮৯]

অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯০]

অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯১]

তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯২]

অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৩]

তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস ্ত পদে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৪]

সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন? [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৫]

অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৬]

তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৭]

তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৮]

সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:৯৯]

হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০০]

সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০১]

অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০২]

যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৩]

তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৪]

তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৫]

নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৬]

আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৭]

আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৮]

ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১০৯]

এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১০]

সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১১]

আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১২]

তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৩]

আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৪]

তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৫]

আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৬]

আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৭]

এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৮]

আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১১৯]

মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২০]

এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২১]

তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২২]

নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৩]

যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৪]

তোমরা কি বা'আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৫]

যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৬]

অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৭]

কিন্তু আল্লাহ তা'আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৮]

আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১২৯]

ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক! [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩০]

এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩১]

সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩২]

নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৩]

যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম; [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৪]

কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৫]

অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৬]

তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায় [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৭]

এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৮]

আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৩৯]

যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪০]

অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪১]

অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪২]

যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৩]

তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৪]

অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-ব িজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৫]

আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৬]

এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৭]

তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৮]

এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তা ন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৪৯]

না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫০]

জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫১]

আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫২]

তিনি কি পুত্র-সন্তা নের স্থলে কন্যা-সন্তা ন পছন্দ করেছেন? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৩]

তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৪]

তোমরা কি অনুধাবন কর না? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৫]

না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৬]

তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৭]

তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৮]

তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৫৯]

তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬০]

অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬১]

তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬২]

শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৩]

আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৪]

এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৫]

এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৬]

তারা তো বলতঃ [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৭]

যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৮]

তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৬৯]

বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭০]

আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭১]

অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭২]

আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৩]

অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৪]

এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৫]

আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে? [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৬]

অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৭]

আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৮]

এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৭৯]

পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৮০]

পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৮১]

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত। [সুরা সাফফাত - ৩৭:১৮২]