بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالْفَجْرِ
শপথ ফজরের, [সুরা ফা’জর -
৮৯:১]
وَلَيَالٍ عَشْرٍ
শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার, [সুরা ফা’জর -
৮৯:২]
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ
যা জোড় ও যা বিজোড় [সুরা ফা’জর -
৮৯:৩]
وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে [সুরা ফা’জর -
৮৯:৪]
هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ
এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। [সুরা ফা’জর -
৮৯:৫]
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন, [সুরা ফা’জর -
৮৯:৬]
إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং [সুরা ফা’জর -
৮৯:৭]
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি [সুরা ফা’জর -
৮৯:৮]
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল। [সুরা ফা’জর -
৮৯:৯]
وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে [সুরা ফা’জর -
৮৯:১০]
الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ
যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১১]
فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ
অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১২]
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৩]
إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ
নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৪]
فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৫]
وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৬]
كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৭]
وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৮]
وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল [সুরা ফা’জর -
৮৯:১৯]
وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস। [সুরা ফা’জর -
৮৯:২০]
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর ্ণ হবে [সুরা ফা’জর -
৮৯:২১]
وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, [সুরা ফা’জর -
৮৯:২২]
وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৩]
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৪]
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৫]
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৬]
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন, [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৭]
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৮]
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। [সুরা ফা’জর -
৮৯:২৯]
وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। [সুরা ফা’জর -
৮৯:৩০]